নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লার দাউদকান্দির স্কুলের বিদ্যুৎ অবৈধভাবে বাড়িতে ব্যবহার করার দায়ে শহীদনগর এম এ জলিল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং বাড়ির মালিককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল ইসলাম খান এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ইউএনও কামরুল ইসলাম খান জানান, বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) স্কুলের মিটিং চলাকালীন প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া জুলাই ও আগস্ট মাসের বিদ্যুৎ বিল বাবদ ১২ হাজার ৯১ টাকা বকেয়া বিল উপস্থাপন করেন। বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে হলে তাৎক্ষণিকভাবে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ ডিজিএম মোসাম্মৎ সেলিনা আক্তারকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার পল্লী বিদ্যুতের প্রতিনিধি দল স্কুলে পৌঁছে তদন্ত করে দেখতে পান স্কুলের সংলগ্ন চাঁদগাঁও গ্রামের বাসিন্দা আয়নল হকের বাড়িতে প্রধান শিক্ষকের ভাড়া বাসায় অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়েছে। ওই বাড়িতে আরও ছয়টি টিনশেড ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন তিনি।
এ ঘটনায় বিকেল ৩টায় স্কুল মাঠে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রধান শিক্ষককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং বাড়ির মালিক আয়নল হককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ইউএনও আরও বলেন, আগামী সপ্তাহে জরুরি মিটিং ডেকে সবার সম্মতিক্রমে প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page